বোবো স্টেটাস ১

নমস্কার। আমার নাম বোবো, আর এটা আমার প্রথম স্টেটাস মেসেজ। আমি মা কে বলেছিলাম আমার আঠেরো দিন বয়স হল, এবার অন্তত ফেসবুকে একটা আকাউন্ট খুলে দাও, কিন্তু মা বলল, সেটা আঠারো বছরের পর সম্ভব। তাই মায়ের একাউন্ট থেকেই স্টেটাস দিতে হল।
আমি সম্রাট অশোক চক্কোত্তির নাতি হই। তিনি আমার জন্য দুইজন কাজের লোক রেখেছেন, একজনের নাম বাবা আর আরেকজনের নাম মা। এর মধ্যে একজন খসখসে দাড়িগোঁফওয়ালা কিন্তু সে আসলে ভালোলোক। আমার সাথে খেলা করে আর অনেক কোলেটোলে নেয়। দোষের মধ্যে মাঝেমধ্যে নাকটা খেয়ে ফেলে, কিন্তু ওটা সমস্যা নয়, নাক আবার গজায়। আরেকজন গোলমত নরম আছে, তাকে আমি মা বলে ডাকি, কিন্তু সে অতটা ভালো না, সে খালি কোলে নিতে চায় না, কোমর ব্যাথা বলে। কিন্তু আমিও সম্রাট অশোকের নাতি, তাই সন্ধ্যাবেলায় এমন কাঁদি যে তাকে কোলে নিতেই হয়।

এখানে লোকেরা জানতে চাইবেন যে আমি কেন কাঁদি? এটা আমি নিজেও জানি না। আমার বিরক্ত লাগলে আমি কাঁদি। কেন আমার বিরক্ত লাগছে এটা ওই বাবা মা টাইপের লোকেরা বোঝার চেষ্টা করে। সেটা যদি তারা বুঝতে না পারে তাহলে আরো কাঁদি। কিন্তু আমার নিনি ( যে আসলে মা লোকটারও মা হয়) বলে আমি লক্ষ্মী ছেলে, আমি বেশি কাঁদি না। সেটাই ঠিক হবে হয়তো। নিনি আমার পনের দিনের জন্মদিনে আমাকে অনেক খেলনা এনে দিয়েছে। কিন্তু সেগুলো ঠিক কেমন দেখতে আমি বুঝতে পারি না, শুধু জানি তাতে প্যাঁকো প্যাঁকো আওয়াজ হয়। নিনি বলেছে কয়েকদিন পর যখন আমি ভালো করে দেখতে পাবো তখন আমি সেগুলো নিয়ে আরো খেলব। কাল আমি পা দিয়ে একটু চাদরটা সরানোর চেষ্টা করেছি বলে সবাই আমাকে বড় হয়ে গেছি বলছে। এখন আমি ডুডি খাচ্ছি। আমি দিনে তিনবার ওষুধ খাই, ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি। ওষুধগুলো হেব্বি খেতে আমি খুব চেটে চেটে খাই। মা ব্যাজার মুখে মায়ের ওষুধ খায়, তাই আমি ভেবেছি, হয় মায়ের ওষুধগুলো বাজে খেতে, না হলে মা আমার মত বড় বীর নয়।

Comments