রহমানিয়া

আজ রহমানিয়ায় খাওয়ার একটা ছবি দেখে আমার অফিসের একটা সলিড ঘটনা মনে পড়ে গেল। আমরা তখন সদ্য জয়েন করেছি উইপ্রোতে। উইপ্রোর ক্যাফেটেরিয়ায় ( আদতে ক্যান্টিন, আমরা বিশাল হনু কিনা, তাই ক্যাফেটেরিয়া বলি) চিকেন বিরিয়ানী পাওয়া যেত ৫০ টাকা করে। (সেটা রোজ রোজ খেয়ে আমি আমার পেটের বারোটা বাজিয়েছিলাম)
সাল ২০১১, আমাদের টিমের পাশের টিমের টিমলিড সঞ্জীবদা চাকরি ছেড়ে দেবেন, দিয়ে আর আইটি সার্ভিসের ধারবাড় মাড়াবেন না শুনেছিলাম। তিনি নাকি নিজের ব্যাবসা খুলবেন ট্যুরস এন্ড ট্র্যাভেলস এর। তাই সবাই ধরে পড়লাম, খাওয়াও। তিনি প্রথমে খুব উদার হয়ে বললেন কি খাবি বল তোরা?
সবাই বলল, ক্যাফেটেরিয়ার বিরিয়ানী খাওয়াও। সঞ্জীবদা ছোট্ট করে অঙ্ক করলেন, বাইশ জন ইনটু পঞ্চাশ টাকা, অনেক বেশি। তাই তিনি বললেন, ওরে অত পারব না, রহমানিয়ার রোল খাওয়াতে পারি।
তো আমরা তাতেই খুশি।

পরের দিন দলবলসুদ্ধ যাওয়া হল রহমানিয়ার রোল খেতে। টিমে মুকেশের মত নিরামিষাশি যেমন ছিল, তেমন রাজ্জাকের মত রাক্ষসও ছিল। মুকেশ আর তার মত কিছু ভালোমানুষ পনীর রোল অর্ডার দিলো, আমাদের মত লাজুক মহিলারা এগচিকেন বা এগমাটন রোল। আর রাজ্জাকের মত পাজী রাক্ষসরা নিজেদের ইচ্ছেমত কাস্টোমাইজড রোল অর্ডার দিলো। যেমন, ট্রিপল মাটন ডাবল চিকেন সিঙ্গল এগরোল। ওই একটা রোলের দামই নব্বই। বাকি বাদ দিলেও। সঞ্জীবদার মুখ দেখি আস্তে আস্তে ছোট হচ্ছে। কিন্তু আমরাও বুভুক্ষু পাবলিক, অত দেখলে খাব কখন?
সঞ্জীবদার নাকি তিন হাজার টাকা বিল হয়েছিল। পরে ফেরার সময় ঘনিষ্টদের বলেছিলেন, “বিরিয়ানী খাওয়ালেই হত রে”।

Comments