২০১৩ সালের একটা গল্প বলি। তখন সদ্য আমার বিয়ের কথাবার্তা ফাইনাল হয়েছে। মানে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবা মা এসে ( তখন বাবির বাবা মা ছিলেন) আমার বাড়িতে কথা বলেটলে ডেট ফাইনাল করে গেছেন, কাজেই তখন আমার আর বাবির বেড়াতে যাওয়ার জন্য অঢেল এবং খোলা পারমিশন রয়েছে। আমি, গুরু, বুবান ( গুরুর ভাগনে) আর বাবি চারজনে ঠিক করলাম আমরা মায়াপুর ঘুরতে যাব। সকালে যাব, রাতে ফিরব। বাবি চন্দননগরে নেমে যাবে, আমি গুরুর সাথে বাড়ি ফিরে আসব।
সারাদিন ঘুরেটুরে স্টেশনে এসে দেখি, যে ট্রেনটা ধরলে মোটামুটি রাত নটার মধ্যে বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা, সেই ট্রেনটা মিস করেছি। পরের ট্রেন প্রায় দেড় ঘন্টা পরে। হঠাত আনাউন্স হল, একটা বিশেষ ট্রেন আসছে, সেটা শিয়ালদহ স্টেশনে যাবে যদিও। এক্সপ্রেস ট্রেন শুনে আমরা আনন্দে লাফিয়ে উঠে পরলাম। ফাঁকা ট্রেন। বাবি ব্যান্ডেলে নেমে ট্রেন চেঞ্জ করে বাড়ি ফিরবে, আর আমি শেয়ালদহতে নেমে ফিরব গুরুর সাথে।
ইতিমধ্যে শুরু হল বৃষ্টি, এবং ট্রেনটা প্রবল লেট করা শুরু করল। বোঝাই গেল, ওই ট্রেনটা আমরা পেয়েছি তার কারণই হল লেট করা। সমানে আমাদের ট্রেনটা সাইডে করে দিচ্ছে, আর অন্য ট্রেন পাস করছে। রাত আটটায় আমরা যে স্টেশনে ( এখন নাম মনে নেই) সেখান থেকে ব্যান্ডেলই পাঁচ স্টেশন পরে। কাজেই রাত এগারোটার আগে শিয়ালদহ পৌছনোর কোন চান্স নেই। মা কে ফোনে খবরটা দিতেই তুমুল ঝাড় খেলাম। ওদিকে কলকাতায় তখন মুষলধারে বৃষ্টি।
আমার এখনকার কত্তা, তখনকার উড বি, একটা বিরাট সাহসের কাজ করলেন তখন, মা কে ফোন করে দৃঢ়স্বরে জানালেন, " মা, আমি সোনুকে আমার বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি, কাল সকালে দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেব।"
আমি মায়ের কাছে আরেকপ্রস্থ ঝাড় খেলাম, খামোকা আমার শ্বশুর শাশুড়ীকে বিব্রত করার জন্য, মা নিজে আমার শাশুড়ীকে ফোন করলেন, আমার শাশুড়ি মা কে জানালেন, তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন, তাঁর ছেলে এই দায়িত্ব নিয়েছে, এবং আজকে আমি তাঁর বাড়ি যাব, প্রথমবার। আমার মা নিজেও বুঝতে পারছিলেন এছাড়া আর কোন অপশন খোলা নেই।
সেই আমার প্রথমবার শ্বশুরবাড়ীতে পদার্পন। রাত দশটার সময়, জিনস আর টপ পরা বাড়ির উড বি পুত্রবধু আধভেজা হয়ে গৃহপ্রবেশ করেছিল, এবং আমার আরেকজন মা তাকে অত্যন্ত স্নেহের সাথে সানন্দে গ্রহন করেছিলেন। মা সেদ্ধভাত খাইয়ে দিলেন, বোনের নাইটি পরে মায়ের পাশে ঘুমিয়ে পড়লাম। সেটাও জুন মাস ছিল, মাঝরাতে কারেন্ট অফ হয়ে গেল, গরমে ঘুম ভেঙ্গে যেতে দেখলাম মা হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করছেন ননস্টপ।
এই আমার আরেক মা, যিনি নিজের মেয়ের মত করে আমাকে এক্সেপ্ট করেছেন, কিছু বদলাতে বলেননি কখনো।
আজ আমার সেই মায়ের জন্মদিন। হ্যাপি বার্থডে মা, খুব ভালো থাকো।
সারাদিন ঘুরেটুরে স্টেশনে এসে দেখি, যে ট্রেনটা ধরলে মোটামুটি রাত নটার মধ্যে বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা, সেই ট্রেনটা মিস করেছি। পরের ট্রেন প্রায় দেড় ঘন্টা পরে। হঠাত আনাউন্স হল, একটা বিশেষ ট্রেন আসছে, সেটা শিয়ালদহ স্টেশনে যাবে যদিও। এক্সপ্রেস ট্রেন শুনে আমরা আনন্দে লাফিয়ে উঠে পরলাম। ফাঁকা ট্রেন। বাবি ব্যান্ডেলে নেমে ট্রেন চেঞ্জ করে বাড়ি ফিরবে, আর আমি শেয়ালদহতে নেমে ফিরব গুরুর সাথে।
ইতিমধ্যে শুরু হল বৃষ্টি, এবং ট্রেনটা প্রবল লেট করা শুরু করল। বোঝাই গেল, ওই ট্রেনটা আমরা পেয়েছি তার কারণই হল লেট করা। সমানে আমাদের ট্রেনটা সাইডে করে দিচ্ছে, আর অন্য ট্রেন পাস করছে। রাত আটটায় আমরা যে স্টেশনে ( এখন নাম মনে নেই) সেখান থেকে ব্যান্ডেলই পাঁচ স্টেশন পরে। কাজেই রাত এগারোটার আগে শিয়ালদহ পৌছনোর কোন চান্স নেই। মা কে ফোনে খবরটা দিতেই তুমুল ঝাড় খেলাম। ওদিকে কলকাতায় তখন মুষলধারে বৃষ্টি।
আমার এখনকার কত্তা, তখনকার উড বি, একটা বিরাট সাহসের কাজ করলেন তখন, মা কে ফোন করে দৃঢ়স্বরে জানালেন, " মা, আমি সোনুকে আমার বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি, কাল সকালে দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেব।"
আমি মায়ের কাছে আরেকপ্রস্থ ঝাড় খেলাম, খামোকা আমার শ্বশুর শাশুড়ীকে বিব্রত করার জন্য, মা নিজে আমার শাশুড়ীকে ফোন করলেন, আমার শাশুড়ি মা কে জানালেন, তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন, তাঁর ছেলে এই দায়িত্ব নিয়েছে, এবং আজকে আমি তাঁর বাড়ি যাব, প্রথমবার। আমার মা নিজেও বুঝতে পারছিলেন এছাড়া আর কোন অপশন খোলা নেই।
সেই আমার প্রথমবার শ্বশুরবাড়ীতে পদার্পন। রাত দশটার সময়, জিনস আর টপ পরা বাড়ির উড বি পুত্রবধু আধভেজা হয়ে গৃহপ্রবেশ করেছিল, এবং আমার আরেকজন মা তাকে অত্যন্ত স্নেহের সাথে সানন্দে গ্রহন করেছিলেন। মা সেদ্ধভাত খাইয়ে দিলেন, বোনের নাইটি পরে মায়ের পাশে ঘুমিয়ে পড়লাম। সেটাও জুন মাস ছিল, মাঝরাতে কারেন্ট অফ হয়ে গেল, গরমে ঘুম ভেঙ্গে যেতে দেখলাম মা হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করছেন ননস্টপ।
এই আমার আরেক মা, যিনি নিজের মেয়ের মত করে আমাকে এক্সেপ্ট করেছেন, কিছু বদলাতে বলেননি কখনো।
আজ আমার সেই মায়ের জন্মদিন। হ্যাপি বার্থডে মা, খুব ভালো থাকো।
Comments
Post a Comment