আরেকটি ভুতের গল্প

তখনো বিয়ে হয়নি। এমনকি সেই ব্যক্তির সাথে ঘোরাঘুরিও হয়নি। মামা (Mama) সিনেমাটা রিলিজ করেছে সবে। কিছুদিন পর আমি একটা প্রিন্ট পেলাম দেখার জন্য। তখন চাকরি করি, আর নিজের ছাড়া কারোর পিছনে ওড়ানোর নেই তাই কিছু বদ শখ পালন করছি। তার মধ্যে একটা হল বিভিন্ন খাপছাড়া সফট্য় সংগ্রহ। আমার বন্ধুদ্বয় বাপ্পা ও সমীরণ বিলক্ষণ জানতো এবং এইসব সাপ্লাই দিতো। আমার ছিলো ডলফিন, গাধা, নিরামিষাশী ডায়নোসোর, বাঘ, হনুমান, হাঁস, ইত্যাদি। এদের মধ্যে লেটেস্ট ছিল হাঁস। সাদা ধপধপে। পেটে দুটো ব্যাটারি ভরার জায়গা ছিল, মাথায় চাঁটি মারলে কোয়াক কোয়াক করে ডাকত। তিনবার কোয়াক কোয়াক না ডেকে থামত না।

যারা মামা দেখেননি তারা প্লিজ এর পর আর পড়বেন না, কারন স্পয়েলার আছে। মামা একটা ভুতের সিনেমা সেটা নিয়ে অফিসে হেবি হাসাহাসি হয়েছে ( আমেরিকানরা কিস্যু জানে না, মেয়ে ভুতের সিনেমার নাম মামা(Mama) আর ছেলে ভুতের সিনেমার নাম মামী(Mummy))। রাত অনেক হয়েছে, মা দিদা ঘুমোতে দোতলায় চলে গেছেন। একতলায় আমি একা, সিনেমা দেখছি। আমার ঘরে কম্পুর সামনে আমি বসা। পিছনে আলমারি , ডানহাতে একটু দূরে শোকেস, সেখানে বই আর আমার পুতুলরা রাখা। ভুত এসে বাচ্চাদের কাকাকে ধরল বলে, ভুতের ইন্ট্রোডাকটরি সিন, সেইসময়ে, কোয়াক কোয়াক। আঁতকে উঠে দেখি, হাঁস নিজের থেকেই ডাকছে। রেগেমেগে ঘাড় ধরে আলমারিতে ভরে দিলাম। যারা দেখেছেন সিনেমাটা তারা নিশ্চয়ই জানেন ভুতাম্মা আলমারিতে লুকিয়ে থাকত। ঠিক সেই সিনটা চলছে, আবার পিছনের আলমারি থেকে কোয়াক কোয়াক শুরু। এবার লুপে। ছবার হয়েও থামার নাম নেই, আর আলমারি খোলার সাহস আমার নেই। শেষে বিরক্ত হয়ে আলমারি খুলে হাঁস বের করে, তার পেট থেকে যন্তর বার করে যন্তরের পেট থেকে ব্যাটারি বের করে তবে শান্তি। চাদ্দিকে আলো জ্বেলে দোতলায় উঠেছি সেদিন।

Comments

  1. মনে করুন পেলে মিডফিল্ডে একটা চরা থ্রু পাশ পেয়েছেন বল কাতিয়ে এগিয়ে বক্সের কাছে এসে বল মারলেন তবে তা গোলকিপারের হাতে দেবার জন্য । এই গল্পটা তাই হল । ব্যাটারি খুলে নিয়ে হাতের মুঠোয় রেখে দোতালার সিঁড়ি থেকে আবার শুনতে পেলেন প্যাঁক। ব্যাটারি হাতে ছিল গেলো কোথায়?ীমন্টা করতে পারতেন কিন্তু

    ReplyDelete

Post a Comment