মোটাত্বের গল্প

খুব ভালো বাবিবর পেয়েছি বুইলেন। সারা পৃথিবী রোগা হতে বললেও বাবি কিন্তু কোনোদিন বলেনি। তবে এটুকু বলেছে, মোটাত্বের অসুখ বাঁধালে হবে না। আমিও বলেছি, দেখো রোগাদের হাজার হ্যাপা, এই চুল পড়ে যাচ্ছে, এই ব্রণ হচ্ছে, এই স্ট্রেচমার্কস দেখা যাচ্ছে, কিন্তু মোটাদের দেখো, রোগা হওয়া ছাড়া কোন গোল (Goal) নেই, অসুবিধা নেই। আর কেউ মোটা বললে শুধু মুখ একটু কাঁচুমাচু করে বলতে হয়, “খুউব চেষ্টা করছি বুঝলেন, হচ্ছিই না। আসলে বাড়ির সবার মোটার ধাত তো, আমি জল খেলেও মোটা হই।” ব্যাস আর কেউ জ্বালাবেও না।


আমি রোগা হওয়ার চেষ্টা জম্মেও করিনি। সিঁড়ি দিয়ে উঠে যদি দেখেছি ৫০০গ্রাম ওজন কমে গেছে, তাহলে হায়হায় করেছি। পরের চারদিন লিফটে উঠে আর ভালোমন্দ খেয়ে আরো ১ কেজি বাড়িয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছি।
একবার এক রোগা আমাকে খুব খ্যাপাচ্ছিল মোটা মোটা করে, আমিও তাকে বললাম “ তুই তো জীবনেও হতে পারবি না, হিংসেই করে যা” এদিকে তো সর্বত্র ফুলস্লিভ পরে, আবার কথা।
মোদ্দা কথাটা হল, আমি খুব একটা কেয়ার করি না মোটা না রোগা, ফর্সা না কালো, সাজুনি না প্রেতিনী। আমার কাছে একমাত্র মাপকাঠি হল মানুষটার সেন্স অফ হিউমর। আমার বরকে অত্যধিক ভালো দেখতে, তবে দেখার অনেক আগে আমার যেটা হেবি পছন্দ হয়েছিল সেটা হল সেন্স অফ হিউমর। আর অবিশ্রান্ত পিছনে লাগার ক্ষমতা। (সেটা অবশ্য এখন বাঁশ হয়ে গেছে)
সেই আমিই অসুখে একুশ কেজি কমে গেছি। নিজেকে কেমন যেন হালকা মনে হচ্ছে। জীবনে প্রথম প্যান্টালুনসের তাক থেকে কুর্তি পছন্দ করলাম, যেটা আমার হল শুধু না, ঢিলে হল। একসাইজ কম নিয়ে বাড়ি এলাম, সেটাও একটু ঢোলা, তবে এর থেকে ছোট নিলে টাইট হত, শিওর।
জামাকাপড়ের একটু সুবিধা হয়েছে বটে।

Comments