ভবানীপুরের ফুচকা

খাদ্য খানেকা বাদকা প্রতিক্রিয়া
--------------------------------------------------------------
ফুচকা
আপনি যদি জবর ফুচকা খেতে চান, তাহলে একটা জায়গায় গিয়ে খেতে পারেন, জায়গাটা হল ভবানীপুর। সেখানে ঠিক একজ্যাক্ট জায়গাটা জানি না, কেন জানি না, আর কিভাবে তাহলে সেই ফুচকাওয়ালাকে খুঁজে পাবেন জানাচ্ছি স্টেপ বাই স্টেপ
১. প্রথমে প্রসেনজিৎ বন্দ্যো AKA আমার গুরুর সাথে দেখা করুন। একা। না হলে চাপ আছে।
২. তারপর তাঁকে বলুন যে, আপনি যে জায়গায় থাকেন, ( ধরে নিচ্ছি বেহালা) সেই জায়গার সবকিছু ভবানীপুরের থেকে একশ গুন ভালো।
৩. এবার আগামী পাঁচমিনিট ধরে শুনুন ভবানীপুর কেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জায়গা।


৪. পাঁচ মিনিট হয়ে গেছে? এবার ভদ্রলোককে কথার মধ্যে ইন্টারাপ্ট করে বলুন, যতই ভবানীপুরের গুণ গাও বেহালার মত ফুচকা কোত্থাও পাওয়া যায় না।
৫. এইবার আপনাকে ভুল প্রমাণ করার জন্য একটা বাইক বেরোবে, তার পিঠে চেপে বসুন।
ভবানীপুরের অলিতে গলিতে গিয়ে একটা ফুচকাওয়ালার ঠেলার সামনে গাড়ি দাঁড়াবে, নেমে পড়ুন।
ফুচকাওয়ালার সামনে সর্বদা ১০-১৫ জনের ভীড়, অপেক্ষা করুন, তারপর হালকা করে শুরু করুন।
ইতিমধ্যে ভদ্রলোক বলে দিয়েছেন ফুচকাওয়ালাকে, যে এই মহিলা মনে করেন যে বেহালার ফুচকা সেরা। ফলে ফুচকাওয়ালা একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিয়েছেন মনে মনে।
এইবার কাগজের বাটি হাতে নিন, এক একটা ফুচকার সাইজ হাতে বানানো তুবড়ির মত। আর মুখে দিলেই সেই তুবড়ি ব্লাস্ট করে, হরেক স্বাদ ছড়িয়ে পড়ে, সে এক স্বর্গীয় অনুভুতি।
গোটা দশেক খান, তার বেশি নয়, কেন? এখানেই শেষ নয় গল্প। গুরু ততক্ষণে জিজ্ঞাসা করেছেন দই ফুচকা খাবে নাকি?
এর উত্তরে যে না বলে, তাঁর মত বোকা খুব কমই আছে পৃথিবীতে।
খান, খেয়ে দেখুন, অমৃত কাকে বলে, দেব আর দৈত্য বেকার জিনিস নিয়ে মারপিট করে মরল। আসল অমৃত পৃথিবীতেই মজুত আছে। আর দইফুচকা বানানোর কায়দা কি, হালকা হাতে যখন লঙ্কাগুড়ো ছেটায় না, অত্যন্ত ঘেমো না হলে লোকটাকে চুমু খেয়ে নিতে ইচ্ছে করবে।
চোখ বন্ধ করে দই ফুচু খান, হ্যাঁ, প্রেমে পড়লে আমরা নামটাকে পছন্দমত কচি করে নিতে ভালোবাসি।
খেয়েটেয়ে বাইকে চড়ে বসুন। দাম? সে আমি কি জানি, আজ অবধি আমি পেমেন্ট করিনি, যিনি চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তিনি দিয়েছেন।
বাইক চলার পর স্বীকার করুন যে আপনার এরিয়ার থেকে ভবানীপুর, অন্তত ফুচকার দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ।
লেখার তারিখ হল ১৯শে অক্টো, ২০১৬

Comments